জাবিতে পোষ্য কোটা নিয়ে কমিটি গঠন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাখ্যান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন একটি সংস্কার কমিটি গঠন করেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। সভা শেষে সন্ধ্যায় উপাচার্য পোষ্য কোটা পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, অবিলম্বে শিক্ষক কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, আমরা পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছি, আর প্রশাসন এটি নিয়ে কালক্ষেপণের চেষ্টা করছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি দীর্ঘসূত্রতায় নিয়ে যাওয়া আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, কোটা বৈষম্য নিয়ে দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার মতো একটি অযৌক্তিক কোটা থাকতে পারে না। আমরা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত চাই, দীর্ঘমেয়াদি তদন্ত কমিটি নয়। যদি দ্রুত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা না আসে, তাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি যথাযথভাবে পর্যালোচনা করছি। আমরা পোষ্য কোটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই ভর্তি পরিচালনা কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন। উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন স্থগিত হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মেহেরব হোসেন/আরএআর