ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

ফিলিপ সি. জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল ‘ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা ২০২৫’ আন্তর্জাতিক পর্বে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি আইনি দক্ষতা প্রদর্শন করে ন্যাশনাল রাউন্ডে রানার্স-আপ ট্রফি অর্জন করেছে। এ সাফল্যের পাশাপাশি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী প্রিলিমিনারি রাউন্ডে ৮৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করে ‘বেস্ট মুটার’ সম্মাননা লাভ করে।
আন্তর্জাতিক পর্বে সাফল্যের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৬ মে) ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রেজাকুল হায়দার হলে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. মহিউদ্দীন মজুমদার স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০৪টি দেশের রেকর্ডসংখ্যক ৮০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে এটি ছিল প্রতিযোগিতার ৬৬ বছরের ইতিহাসে বৃহত্তম আয়োজন। বাংলাদেশ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে রেকর্ডসংখ্যক অংশগ্রহণকারী ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল রাউন্ডের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে। দারুণ আইনি দক্ষতা প্রদর্শন করে ন্যাশনাল রাউন্ডে রানার্স-আপ ট্রফি অর্জন করেছে দলটি। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এই বছর বাংলাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই এই প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক পর্বে উন্নীত হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন এ বি এম ইমদাদুল হক খানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. খালেদ হামিদ চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মো. সামসুল হুদা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মো. সামসুল হুদা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. খালেদ হামিদ চৌধুরী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উদ্ভোধনী বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ। এতে আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আইন বিভাগের প্রভাষক ও মুট কোর্ট সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর ওমর ফারুক তামীম।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বকাপ মুট’ বলে খ্যাত ফিলিপ সি. জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল ‘ল’ মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থী মাহির চৌধুরী আবির এবং সাকিব খন্দকার। এছাড়া মনরো ই. প্রাইস মিডিয়া ‘ল’ ইন্টারন্যাশনাল মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন আইন অনুষদের শিক্ষার্থী রাইসা চৌধুরী ও রিয়াসাত আজিম।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের আইন পেশায় দক্ষতা অর্জনে মুটিং কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জেসাপ, হেনরি ডুনান্ট, মনরো ই. প্রাইস (অক্সফোর্ড), ও স্টেটসন আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারাবাহিক সফলতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সম্মানজনক উপস্থিতির জন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অভিনন্দন জানান। আইনি উৎকর্ষ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের অবদানকে তিনি আন্তরিকভাবে প্রশংসা করেন।
এমএসআই/এমএন