ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা-আত্মোন্নয়ন নিয়ে কর্মশালা

নারী শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা, আত্ম-চেতনা ও নেতৃত্ব বিকাশে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মোন্নয়ন’ বিষয়ক কর্মশালা।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল অডিটোরিয়ামে ‘ক্যারিয়ার অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট ফোরাম’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় হল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার মূল সেশন পরিচালনা করেন ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান। তিনি নারী শিক্ষার্থীদের মানসিক স্থিতিশীলতা, ইতিবাচক চিন্তা, ব্যক্তিগত সংকট মোকাবিলা ও পড়াশোনার চাপ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ক্যারিয়ার উন্নয়নের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।

ঢাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদা রওনক খান বলেন, ‘এমপাওয়ারমেন্টের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সাংঘর্ষিক নয়, তবে দায়িত্ব বাড়লে মানসিক চাপও বাড়ে। সফলতা মানেই সুখ নয়– সুখ মানে মানসিক শান্তি ও আত্মতৃপ্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিজেকে হারিয়ে ফেললে তা আত্মোন্নয়ন নয়, আত্মবিধ্বংস।’
অতিথি বক্তা আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুহৃদ সাদিক বলেন, ‘আত্মোন্নয়ন মানে নিজেকে জানা, নিজের দুর্বলতা ও শক্তি বুঝে তা কাজে লাগানো। ক্ষমতায়ন মানে শুধু অধিকার নয় বরং নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারার সক্ষমতা অর্জন।’
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও হতাশা বিষয়ে বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী জানেই না মানসিক স্বাস্থ্য বলতে কী বোঝায়। ভালো একজন শ্রোতা বা বন্ধু থাকলে মানসিক চাপ অনেকটা কমে। সফলতা সবসময় সিজিপিএ বা চাকরির মাপকাঠিতে মাপা যায় না– প্রতিটি ধাপে সফলতার সংজ্ঞা আলাদা।’
কর্মশালার আয়োজক ও ক্যারিয়ার অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট ফোরামের সভাপতি এবং সুফিয়া কামাল হল সংসদের এজিএস শিমু আক্তার বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা নানা মানসিক চাপ ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের সম্ভাবনা চিনে আত্মবিশ্বাসী হয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়মিতভাবে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
এসএআর/বিআরইউ