সবার মুখে হাসি ফোটাচ্ছে ‘হাসিমুখ’

‘হাসিমুখ' স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা
'বঞ্চিত তোর স্নিগ্ধ হাসি, হৃদয় মাঝে বাজায় বাঁশি' স্লোগান সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ-তরুণীর স্বপ্নপূরণের যাত্রা শুরু হয় ‘হাসিমুখ' স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির মাধ্যমে। ২০১৭ সালের স্বাধীনতা দিবসে মাত্র ১২ তরুণ-তরুণীর প্রচেষ্টায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে নৈশ বিদ্যালয়ের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় হাসিমুখের পথচলা।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত থেকেছে সব সময়। একটি সুন্দর পৃথিবীতে সকলের মুখে হাসি ফোটানোই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই প্রতিবছরই ‘হাসিমুখ’ তাদের ধারাবাহিক কাজগুলো করে থাকে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ডাস্টবিন স্থাপন, বন্যার্তদের সহায়তা প্রদান, ঈদসহ অন্যান্য উৎসবে দরিদ্রের মুখে হাসি ফোটানো, শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে হাসিমুখ সর্বদা নিয়োজিত।
তবে এবারের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। সারা পৃথিবীর মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। করোনাভাইরাসের প্রকোপে যখন পুরো বিশ্ব স্থবির ঠিক তখনই ‘হাসিমুখ’ ছুটে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপর্যস্ত মানুষের কাছে। তবে এরই মধ্যে জেঁকে বসেছে শীত।
'শীতার্তদের পাশে রয়ে, সচেতন করব করোনা নিয়ে' স্লোগানে ‘হাসিমুখ’ ইতোমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ‘শীতবস্ত্র বিতরণ ও করোনা সতর্কতায় হাসিমুখ' প্রোগ্রামটি। বিজয়ের মাসজুড়ে শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে সবার স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় হাসিমুখ দেশের বিভিন্ন জেলায় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও মাস্ক বিতরণ করে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে রিকশাচালক, হোটেলবয়, ভিক্ষুকসহ ময়মনসিংহের একটি মাদরাসার ছাত্রদের মাঝে ও নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পাবনা, সাভারসহ দেশের ১২টি জেলায় অসহায় পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপাড়ে প্রথমবার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে 'হাসিমুখ'। এরপর ২০১৯ সালে সকলের সহযোগিতায় হাসিমুখ শীতবস্ত্র নিয়ে পৌঁছে যায় কুড়িগ্রামের দুই শতাধিক শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এ ছাড়াও ক্যাম্পাস এরিয়া ও হল কর্মচারীসহ অর্ধশতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে সংগঠনটি।
এমএসআর