স্মরণসভায় হাবীবের মৃত্যুর তদন্ত চাইল প্রিয়জনরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার সদ্য প্রয়াত হাবীব রহমানের স্মৃতিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে হাবীবের বন্ধুদের আয়োজনে এই স্মরণসভা হয়।
এতে তার বিভাগ-হল-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-শিক্ষক-সাংবাদিকতার সহকর্মী, রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। এসময় তার মৃত্যুর ঘটনায় পুনরায় তদন্তের দাবি করেছেন তারা।
হাবীবের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রুমমেট শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিন ইসলাম বলেন, হাবীব সহজেই মানুষের কাছে যেতে পারত, সেটা অনেকেই পারত না। এক রুমে দীর্ঘদিন ছিলাম। কখনোই কোনো মান-অভিমান হয়নি। হাবীবের কেবল মুখে আঘাত। আসলেই কি এটা দুর্ঘটনা? এটা যদি দুর্ঘটনা হয়, আমাদের কোন কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি হত্যাকাণ্ড হয়, তাহলে সেটার উদঘাটন হওয়া জরুরি।

হাবীবের বন্ধু সাংবাদিক ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমি পেশায় অপরাধ সাংবাদিকতা করি। প্রায়ই আমাকে মর্গে যেতে হয়। কিন্তু সেই মর্গে কোনোদিন স্বজনের জন্য যেতে তা ভাবতে পারিনি। মর্গে কাজ করা মানুষগুলো আমাকে চেনে। তারা আমাকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল। এটাকে দুর্ঘটনা মানতে আমার পেশাগত অভিজ্ঞতা সায় দেয় না। এটা উদঘাটনের দাবি করছি।
এনটিভির সাংবাদিক মিজান রহমান বলেন, সে আমার ছোট। কিন্তু আমাদেরকেও অনেক কিছু শিখিয়ে গেছে। তার কমিউনিটি ফিলিংস, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি দিয়ে আমাদেরকে অনেক শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, বন্ধুদের মাঝে আড্ডা জমিয়ে রাখত হাবীব। বন্ধুদের মাঝে কোনো ঝামেলা হলে সেটা মিটমাট করতো সে। হাবীবের বাচ্চার পাশে থাকতে চাই। হাবীব যেন উপরে বসে কষ্ট না পায়।
সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, হাবীব কেন, আমার কোনো শিক্ষার্থীর স্মরণসভায় আসতে হবে, সেটা আমি ভাবিনি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চাইতেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বন্ধুত্বের সম্পর্কে আমরা বেড়ে উঠেছি। ওদের সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। ওরা যোগাযোগ ইশকুল করেছে।
এইচআর/আইএসএইচ