চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে চালক আহত, ২ মাদরাসাছাত্র আটক

খুলনায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করায় চালক আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে খুলনা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেতনা ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় মাদরাসার দুই ছাত্রকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
আটক হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া গ্রামের মো. রাকিব হোসেনের ছেলে মো. শামীমুল হোসেন সিয়াম (১৪) ও গোপালগঞ্জের কাজলিয়া গ্রামের কাজল শেখের ছেলে সাজ্জাত শেখ (১৩)।
আটক দুজনই খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল এলাকার আদর্শ নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসার হেফজ শাখার শিক্ষার্থী।
খুলনা জিআরপি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা খবীর আহমেদ নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল পৌনে ৭টার দিকে খুলনা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল সোয়া ৭টার দিকে ট্রেনটি খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল মাদরাসার সামনে পৌঁছালে কে বা কারা ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। পাথরের আঘাতে ট্রেনের চালক গাজী মারুফ আহত হন। তার ঠোঁট ও মুখ ফেটে রক্ত বের হয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। এরপর রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনস্থালে পৌঁছে মাদরাসাছাত্র সিয়াম ও সাজ্জাদকে আটক করে।
খুলনা জিআরপির পুলিশ সুপার রবিউল হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্রেন একটি নিরাপদ ভ্রমণব্যবস্থা। যাত্রীদের কাছে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মূলত পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটানো হয়। কয়েক মাস ধরে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে এক মাস ধরে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে বলে তিনি জানান।
আজকের এ ঘটনায় ওই দুই মাদরাসাছাত্রের বিরুদ্ধে দেশের রেল আইন অনুযায়ী মামলা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে আটক হওয়া সাজ্জাদ শেখ জানায়, রাস্তার ওপর কয়েকটি কুকুর মারামারি করছিল। তাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছিল সে। সেখান থেকে একটি পাথর ট্রেনে গিয়ে লাগে। ভয়ে সে সেখান থেকে পালিয়ে মাদরাসায় চলে আসে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে।
মোহাম্মদ মিলন/এনএ