নির্বাচন এলে প্রকাশ্যে আসতেন ইউপি সদস্য মামুন

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

০১ মে ২০২২, ০৩:৫১ পিএম


নির্বাচন এলে প্রকাশ্যে আসতেন ইউপি সদস্য মামুন

রবিউল ইসলাম রনি মোল্লা হত্যার প্রধান অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ২২ মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুনকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব-৮)। নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মূলত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও এলাকায় মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মাঝরাতে ঘরে ঢুকে রনি মোল্লাকে হত্যা করা হয়।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব-৮) এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি জামিল হাসান।

তিনি জানান, জহিরুল ইসলাম মামুন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিল। নির্বাচনের সময় কেবলমাত্র তিনি বাইরে বের হতেন। এ ছাড়া অন্য সময়ে আত্মগোপনে থাকতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় কোপাকুপি, মারমারি, মাদকসহ ২২টি মামলা রয়েছে। তার একটি হাত নেই। কৃত্রিম হাত যুক্ত করে নিয়েছেন।

জামিল হাসান বলেন, গত ১৯ এপ্রিল রাতে বাকেরগঞ্জের সোনাপুরা গ্রামের রবিউল ইসলাম রনি মোল্লা ও তার দুই ভাইকে মাঝ রাতে ঘরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র ধারালো দা, রামদা, ছেনা, দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মামলার অন্যতম আসামি মো. জহিরুল ইসলাম মামুন। পরে রনি মোল্লাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা মো. ইয়াছিন আলী মোল্লা বাদী হয়ে ২১ এপ্রিল বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ঘটনার পরপরই ছায়া তদন্তে নামে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব-৮)। ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধান আসামি বাকেরগঞ্জ এলাকার ইসাপুরা গ্ৰামের আব্দুল মালেক হাওলাদারের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম মামুন (৩৭) ও একই এলাকার মৃত মকিবের ছেলে আব্দুর রবকে (৩৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আব্দুর রব মামুন মেম্বারের চাচাতো ভাই। তার বিরুদ্ধেও দুটি মামলা রয়েছে।

পরে আসামিদের বাকেরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই

Link copied