সালথায় যুবককে হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামি ৫৬

ফরিদপুরের সালথার যদুনন্দী ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে সিরাজুল মোল্লা (২৭) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিক মোল্লাসহ ৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১০-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৯ মে) বিকেলে সালথা থানা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সালথা থানা সূত্রে জানা গেছে, নিহতের ভাই মিরাজুল মোল্লা বাদী হয়ে সালথা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৫ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত সিরাজুল মোল্লা যদুনন্দীর খারদিয়া গ্রামের ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইশারত মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন। সোনাপুর বাজারে রমজান মোল্লার ‘স’ মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি । সিরাজুল ইসলাম গত তিন মাস আগে বিয়ে করেছেন।
এ মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আওলাদকে। তিনি বলেন, এ হত্যার ঘটনার পর আসামিরা পলাতক রয়েছেন। যে কারণে এখনও কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে। খুব শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এসআই আওলাদ বলেন, এ হত্যার ঘটনার পর কিছু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলেও শুনেছি। এসব ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মূলত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্লার সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৭টার টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আলমগীরের সমর্থক সিরাজুল ইসলাম মারা যান।
পরে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বোয়ালমারী ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। সংঘর্ষ চলাকালে রফিকের সমর্থকদের অন্তত ৫০টি বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেন আলমগীরের সমর্থকরা।
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, খারদিয়ার হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
জহির হোসেন/আরএআর