চাঁদা না পেয়ে হামলা-ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

রংপুরে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের মারধর ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা নগরীর গণেশপুর-টার্মিনাল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর গনেশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীরা দেড় ঘণ্টার মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী জানায়, সাবেক মোটর শ্রমিক নেতা শাহিন মিয়া প্রায়শই গনেশপুর এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা তুলে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে
গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকার ব্যবসায়ী নূর হোসেন, কামরুজ্জামান ও সিরাজুলের দোকানে গিয়ে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ওপর চড়াও হন শাহিন মিয়া। এক পর্যায়ে মারধর করার পাশাপাশি সন্ত্রাসী কায়দায় দোকানে হামলা চালিয়ে মালামাল ভাঙচুর করে। হামলার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসীসহ অন্য ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত শাহিন মিয়া।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন এলাকাবাসী। তারা রাস্তায় বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকাগামী বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয় ব্যবসায়ীসহ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয় জানতে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি মোবাইল নম্বর বন্ধ রাখায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সড়ক অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, চাঁদার দাবিসহ মারধর ও দোকানে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে আমি ব্যবসায়ীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি