৭০ হাজার খরচ করে ১০ লাখ টাকার শরিফা ফল বিক্রি

Dhaka Post Desk

আকতারুজ্জামান, মেহেরপুর

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৪৬ পিএম


৭০ হাজার খরচ করে ১০ লাখ টাকার শরিফা ফল বিক্রি

ব্যতিক্রম কিছু করার চিন্তা থেকেই বিলুপ্তপ্রায় শরিফা ফল চাষ করেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের বাহাউদ্দীন। পেয়েছেন সফলতাও। তাইতো বছরের ব্যবধানে আরও একটি বাগান করেছেন। দুটি বাগান থেকে তিন বছরে বিক্রি করেছেন দশ লাখ টাকার ফল।  

জানা গেছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের বাহাউদ্দীন। শখের বশে আর ব্যতিক্রম কিছু করার চিন্তা থেকে ৫ বছর আগে মাত্র দুই বিঘা জমিতে শরিফা ফলের বাগান করেন। স্থানীয়ভাবে বীজ সংগ্রহ করে তা রোপণ করেন তিনি। প্রথম বছরে খরচ করেন মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরের বছর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সে বছর স্থানীয় ফল বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে পান ৪০ হাজার টাকা। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে বেশি লাভ হওয়ায় আরও ৬ বিঘা জমিতে বাগান করেন। এ বছর তিনি ৫০ হাজার টাকা খরচ করে পেয়েছেন তিন লাখ টাকা। 

Dhaka post

বাগান মালিক বাহাউদ্দীন বলেন, আগে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যেত সুস্বাদু ফল শরিফা। এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই ফল। এখন কেউ আর এ ফলের গাছ রোপণ করেন না। তিন বছরে ১০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছি। এখন বিভিন্ন এলাকার মানুষ অনলাইনে অর্ডার করছেন। প্রতি কেজি শরিফা ফল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। অনলাইনে অর্ডার করেন ক্রেতারা। কুরিয়ারের মাধ্যমে ঠিকানা অনুযায়ী শরিফা ফল পাঠানো হয়। 

গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের বাবলু হোসেন বলেন, বাহাউদ্দীনের সফলতার গল্প শুনে তার কাছ থেকে বাগান করার পরামর্শ নিচ্ছি। ইতোমধ্যে দুই বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি। বীজও সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি অফিসের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।

Dhaka post

স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম ও জুবায়ের হোসেন বলেন, মেওয়া বা শরিফা ফল সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় এর চাহিদা রয়েছে। নিজের হাতে বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজার ও ঢাকাতে পাঠানো হয়। অনলাইনেও বেচাকেনা হয়। বাগান থেকে ২৫০ টাকা দরে কিনে সাড়ে তিনশ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এতে লাভ হয় বেশি।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, শরিফা একটি বিলুপ্তপ্রায় সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল। বাহাউদ্দীন দুটি বাগান করেছেন। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই বাগান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে পরামর্শ চাচ্ছেন। এ ফল আবাদে খরচ কম। রোগবালাই একেবারই নেই। অথচ লাভ অনেক বেশি। কৃষি অফিস সব সময় চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এ ফল আবাদের সম্প্রসারণ ঘটলে পুষ্টির চাহিদা অনেকখানি পূর্ণ হবে।

এসপি

Link copied