ইট ফেলে নদীর পাড় ভরাটের অভিযোগ, নৌযান চলাচল ব্যাহত

Dhaka Post Desk

উপজেলা প্রতিনিধি, বাউফল (পটুয়াখালী)

০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:৫৫ পিএম


ইট ফেলে নদীর পাড় ভরাটের অভিযোগ, নৌযান চলাচল ব্যাহত

নষ্ট ইট ফেলে লোহালিয়া নদীর বাউফলের বগা ইউনিয়নের ধাউরাভাঙ্গা অংশ ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চসহ মালবাহী নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে ওই ইউনিয়নের ধাউরাভাঙ্গা গ্রামে ‘এমবিসি’ নামে একটি ইটভাটা নির্মাণ করা হয়। তারপর ওই ভাটার নষ্ট ইট নদীতে ফেলে বিশাল একটি অংশ ভরাট করা হচ্ছে। এ কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে আশপাশে চর পড়ছে। এতে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া ইটভাটা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে তোলায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এমবিসি ইটভাটার উত্তর পাশের লোহালিয়া নদীর পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় নষ্ট ইট ফেলা হয়েছে। এ কারণে নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে ওই অংশটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ সুন্দরবন-১৪ এর সুপারভাইজার আবদুল মালেক বলেন, ‘এমনিতেই নাব্য সংকটের কারণে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তার ওপর ইটভাটার কারণে ধাউরাভাঙ্গা চ্যানেলটি হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যাবে। আর পটুয়াখালীর সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।’

ইটভাটার মালিক শহিদ মুন্সি বলেন, ‘ইট ফেলে আমি আমার পৈতৃক জমি নদীভাঙন থেকে রক্ষা করছি। এটা অপরাধ নয়। এতে নৌযান চলাচলে কোনো সমস্যা হয় না।’

বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান বলেন, ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ভাটার নষ্ট ইট ফেলে নদীর পাড় ভরাটের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি সরেজমিন দেখে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করব।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, ইট ফেলে নদী ভরাটের কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসপি

Link copied