অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিক অ্যাকশন : মোস্তফা

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও ফল ঘোষণায় কোথাও কেউ অনিয়মের চেষ্টা করলে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর কাচারি বাজার এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
সদ্য সাবেক এই মেয়র বলেন, কেউ যদি ভোটে অনিয়ম করতে চায়, তবে সে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। নগরীর ২২৯টি ভোটকেন্দ্রের কোথাও যদি অনিয়ম করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি তাৎক্ষণিক অ্যাকশন নেবে। আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকবে। তারা ভোটে অনিয়ম করতে আসা যেকোনো অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে লাঙ্গলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিগত নির্বাচনের চেয়ে আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে রংপুরের মানুষ আমাকে নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ। তবে জনগণের রায় নিয়ে যেন কোনো ধরনের কারচুপি না হয় সেদিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। কেউ অনিয়ম করলে অবস্থা অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রংপুর সারাদেশের চেয়ে আলাদা একটি জায়গা। এখানকার মানুষ যেমন ঠান্ডা তেমনি গরম। আর গরম হলে তাদের থামানো যাবে না। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন কোনো ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবে না। তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর ৪ লাখ ২৬ হাজার প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে গণজোয়ারের প্রমাণ হবে। আমি মনে করি সেদিন গণরায়ের প্রতিফলন ঘটবে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে লাঙ্গল বিজয়ী হবে। সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনাই বলে দিচ্ছে মানুষ শুধু মুখের বুলিতে নয় কথা এবং কাজে বিশ্বাসী। আমি গত পাঁচ বছরে উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের সঙ্গে থেকে আস্থাভাজন হতে পেরেছি। মানুষের ভালোবাসা, ভালোলাগা এবং আস্থা অর্জনই আমার বড় সম্পদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জেলা জাপার সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফারুক আলম, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসানুজ্জামান নাজিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক মাহবুবার রহমান বেলাল, মহানগর ছাত্রসমাজের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত আসিফ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সিটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ জন এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ