ফেনীতে বিস্ফোরণে দগ্ধ মায়ের মৃত্যু, মেয়ে আইসিইউতে

ফেনীতে গ্যাসের লিকেজ থেকে রান্নাঘরে বিস্ফোরণে দগ্ধ তিনজনের মধ্যে মা মেহেরুন নেছা (৩৮) মারা গেছেন। বুধবার (১০ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার ছোট মেয়ে হাফসা ইসলামও (১৫) সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
নিহত মেহেরুন নেছার দেবর শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে ফেনী পৌরসভার শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের দুলামিয়া বাইলেনের শফিক ম্যানশনের একটি ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘরে থাকা মা ও দুই মেয়ে দগ্ধ হন। দগ্ধদের প্রথমে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের রাতেই ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দগ্ধরা হলেন- মা মেহেরুন নেছা (৪০), দুই মেয়ে ফারাহ ইসলাম (১৮) ও হাফসা ইসলাম (১৪)। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের করেরহাট এলাকায়। মেহেরুন নেছার স্বামী মাহফুজুল ইসলাম দুবাই প্রবাসী। দগ্ধদের মধ্যে মেহেরুন নেছার শরীরের ৪৬ ভাগ ও ছোট মেয়ে হাফসার শরীরের ২৭ ভাগ পুড়ে যায়। তবে শঙ্কামুক্ত (৫ ভাগ দগ্ধ) হওয়ায় বড় মেয়ে ফারাহ ইসলামকে রিলিজ করা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম জানান, মেহেরুন নেছা দুই মেয়েকে নিয়ে ফেনী সদরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের একটি ছয় তলা বাসায় ভাড়া থাকতেন। ছোট মেয়ে হাফসা ইসলাম স্থানীয় হলিক্রিসেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করছে। আর ফারাহ ইসলাম এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওই বাসার গ্যাসের চুলা লিকেজ ছিল। সেখান থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। এ সময় মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট চালু করতেই স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মা ও দুই মেয়ে দগ্ধ হন।
হোসাইন আরমান/আরএআর