গাছে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন ছেলের, গ্রেফতার বাবা

কক্সবাজারের চকরিয়ার বরইতলীতে সুদের দুই হাজার টাকার জন্য গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ঘটনার মূলহোতা শওকত আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ।
এরই মধ্যে মামলার দুই নম্বর আসামি শওকতের বাবা জহির আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মো. যুবায়ের।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার দুই নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলহোতা শওকতসহ বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে বরইতলীর মোড়াপাড়া এলাকার ওই নারী একই এলাকার জহির আলমের ছেলে শওকত আলমের কাছ থেকে সুদের ওপর পাঁচ হাজার টাকা ঋণ নেন। এর মধ্যে চার হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকি দুই হাজার টাকা দিতে পারেননি। ওই টাকার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে নারীর পরনের শাড়ি খুলে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেন শওকত। এরই মধ্যে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নিয়াজুল ইসলাম বাদল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুদের দুই হাজার টাকা দিতে না পারায় ওই নারীকে নির্যাতন করেছেন প্রতিবেশী শওকত। ঘটনার পরই তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/এএম