নগরকান্দায় ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়লো নির্মাণাধীন সেতু

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর

২৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম


ফরিদপুরে নির্মাণকাজ চলাকালীন একটি সেতু ধসে পড়েছে। গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে সেতুতে কংক্রিটের ঢালাইয়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। সেতুটি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের মাঝিকান্দা গ্রাম এবং দক্ষিণে তালমা ইউনিয়নের শাকপালদিয়া গ্রামে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর অবস্থিত।

ফরিদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের আগস্ট মাসে। সেতুটি ৩৯ মিটার লম্বা ও সাত দশমিক দুই মিটার প্রস্ত বিশিষ্ট।

সেতুর কাজ পেয়েছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কফাই বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রেজাউল ইসলাম। তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ফোন নম্বর চাওয়া হলে সেতুর কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের প্রতিনিধি মো. সোহেল (৩৪) বলেন, ভাইয়ের মোবাইল নম্বর দেওয়া নিষেধ আছে। যা বলার আমাকে বলেন। তার কাছে সেতু ধসে পরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটু সমস্যা হয়েছিল। দুই একদিনের মধ্যে আবার নতুন করে ঢালাই দেওয়া সম্ভব হবে।

সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা জানান, সেতুটি তিনটি স্লাবে ভাগ করে নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতু ঢালাই ও রড বাঁধা কাজের জন্য প্রায় দেড় মাস আগে মাটির নিচে ২০ ফুট ও মাটির উপরে ১৬ ফুট দৃশ্যমান বল্লি পুতেন। এর পনোরে দিন পর এই কাজের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ঢাকা থেকে কাজ দেখতে আসেন। তিনি এসে আমাদের নির্দেশ দেন, উপরের ১৬ ফুট বল্লি একসঙ্গে দাঁড় না করিয়ে আট ফুট বল্লির উপর কাঠ দিয়ে এর উপরে আর আট ফুট বল্লি দাঁড় করতে হবে। এর উপর হবে ঢালাই। পরে তার নির্দেশ মতো তারা শুধুমাত্র মাঝের ১৫ মিটার অংশে ১৬ ফুট বল্লি কেটে দুই ভাগ করে নির্মাণকাজ শুরু করেন।

মাঝের অংশের বল্লি দুই ভাগ করায় কাঠামো নড়বড়ে হয়ে পড়ে বলে শুক্রবার (২৪ মার্চ) ঢালাইয়ের কাজ করার সময় অতিরিক্ত ভারে সেতুটি ভেঙে পড়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলজিইডির টেন্ডার দেওয়া সেতুটির নির্মাণ কাজে ত্রুটি থাকায় এবং নিম্নমানের কাজ করার কারণে ধসে পড়েছে। এছাড়া, এলজিইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকির অবহেলায় সেতুটি ধসে পড়ার বড় কারণ।

এ বিষয়ে ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খান বলেন, স্টেজিং ভালো না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। নিচের গোড়াটা যেভাবে করার দরকার ছিল সেভাবে হয়নি বলে এ ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আবার ঢালাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জহির হোসেন/এমএএস

Link copied