শাল্লায় হামলার ঘটনায় আরও ৪ জন গ্রেফতার

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় বলা যাবে না। এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ দিরাইয়ে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আসেন মামুনুল হকসহ কেন্দ্রীয় হেফাজত নেতারা। পরে মামুনুল হককে নিয়ে ঝুমন দাস নামে এক যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়। এ ঘটনাকে ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনে ওই এলাকার হেফাজত নেতার অনুসারীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাতেই ঝুমন দাস আপন নামে ওই যুবককে আটক করে। পরে বুধবার সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনে গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার রাতে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলা করেন। মামলায় দিরাইয়ের সরমঙ্গল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীনকে প্রধান আসামি করা হয়।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্য ২৮ আসামিদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
সাইদুর রহমান আসাদ/এসপি