‘জিপিএ-৫ নয়, মেধাবী সেই যে ভালোবাসতে জানে’

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেছেন, জিপিএ-৫ বা শতভাগ নম্বর পেলেই আমি তাদের মেধাবী বলি না। আমার কাছে মনে হয়, মেধাবী সেই যে ভালোবাসতে জানে।
তিনি বলেন, এদেশে মেধাবী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ প্রচুর মেধাবী মানুষ আছে। কিন্তু এই মেধাবী মুখের মধ্যে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ আছেন। তাদের মতো মেধাবী আমাদের দরকার নেই। আমাদের দরকার বঙ্গবন্ধুর মতো মেধাবী। যিনি দেশকে ভালোবেসে জীবনের ১৪টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। আমাদের দরকার ২৩ লাখ মুক্তিযোদ্ধা, যারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছেন এই দেশকে মুক্ত করতে। সুতরাং যে নিজের জনপদের মানুষকে ভালোবাসতে পারবে সেই মেধাবী বলে গণ্য হবে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব সদস্য সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উম্মে সালমা তানজিয়া আরও বলেন, শিক্ষাটা এমন হবে না যে মার্কস অর্জন করে আমি একা বাঁচব। শিক্ষা হবে সেটাই যে মার্কসই আমি পাই না কেন, বুকের মধ্যে এমন একটা ভালোবাসা লালন করব যে ভালবাসার নদীতে আমি আমার প্রিয়জনকে ভাসাবো। সেই নদীতে যে নৌকাটা ভাসাবো সেই নৌকাতে আমি একা থাকব না, সেই নৌকাতে আমার প্রিয়জনকেও ভাসাবো। এইটুকু শুধু মাথায় থাকতে হবে। কারণ একা কখনো বড় হওয়া যায় না। ওই অস্তিত্বের কোনো দাম নেই যে অস্তিত্ব অন্যের জীবনের ইতিবাচক প্রভাব না ফেলে।
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আরিফুর হক মৃদুল, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউল করিম খোকন, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ইমাম উদ্দিন মুক্তা প্রমুখ। পরে ৫৩ শিক্ষার্থীকে (ক্লাব সদস্য সন্তান) শিক্ষাবৃত্তি তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনারসহ অন্যান্য অতিথিরা।
উবায়দুল হক/আরকে