জয়পুরহাটে ট্রেনে আগুন, বর্ণনা দিলেন এক যাত্রী

জয়পুরহাটে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে। ওই বগিতে ১০ থেকে ১০ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে রমজান আলী নামের এক যাত্রীর বাড়ি আক্কেলপুর উপজেলার সরস্বতীপুর গ্রামে। ঘটনাটি নিয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয়েছে রমজান আলীর।
তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন কাপড় ব্যবসায়ী সান্তাহারে কাপড় কিনি। সেগুলো বাড়িতে আনার পর রাতে পার্বতীপুর যাওয়ার জন্য তিলকপুর স্টেশনে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলাম। আমরা যে বগিতে ছিলাম। ওই বগিতে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী ছিলাম। ট্রেনটি আক্কেলপুর স্টেশন পার হয়ে জামালগঞ্জে দাঁড়ায়। এরপর জয়পুরহাটের দিকে গেলে স্টেশনে পৌঁছার আগে ট্রেনের ভেতরে থেকেই আগুন দেওয়া হয়।
রমজান আরও বলেন, আগুন দেওয়ার ওই সিটে কোনো যাত্রী ছিল না। আগুন দেওয়ার পর ট্রেনের ভেতরে একজন দৌড়ে পালিয়ে অন্য বগিতে যায়। ওইসময় ঘুমিয়ে থাকা একজন যাত্রীর পায়ে ধাক্কা লাগলে তিনি উঠে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে আমরা বিষয়টি টের পাই। এরপর ট্রেনের ভেতরে কিছু সময়ের মধ্যে আগুন জ্বলতে থাকে। এসময় পেট্রলের গন্ধ ছিল।
পুলিশ ও রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশনের পর তিলকপুর স্টেশনে দাঁড়ায়। এরপর আক্কেলপুর স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে জামালগঞ্জ স্টেশনে আসে। সেখান থেকে জয়পুরহাট স্টেশনের অভিমুখে ছেড়ে গেলে আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো অবস্থায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি জয়পুরহাট স্টেশনে পৌঁছে। আগুনে কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে। পরে স্থানীয় ও রেলওয়ের লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নেভানো হয়েছে। ট্রেনটি এক ঘণ্টা বিলম্ব করে রাত একটার দিকে স্টেশন ছেড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ঘটনাটি 'নাশকতা' জানিয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জামালগঞ্জ থেকে জয়পুরহাট স্টেশনের মাঝামাঝি কোনো স্থানে আগুন দেওয়া হয়। যাত্রী বেশে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা দায়ের হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে উত্তরা এক্সপ্রেস মেইল ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে জয়পুরহাট স্টেশনে ট্রেন বিরতি দিলে আগুন নেভানো হয়।
চম্পক কুমার/এমএএস