গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে ‘সকস বাংলাদেশ’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ এপ্রিল উপজেলার বাইপাস সড়কের পাশে এনজিওটির ভাড়া বাসায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ‘সকস বাংলাদেশ’ নামের এনজিওটি প্রায় দুই মাস ধরে উপজেলার ইন্দুরকানী সদর ও পত্তাশী ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুরে ঘুরে গ্রাহক সংগ্রহ করে। এরপর তারা অন্যান্য এনজিওর মত ১০ হাজার টাকা ঋণের বিপরীতে এক হাজার টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা নেয়। এভাবে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে এনজিওটি। এরপর গত ১৩ এপ্রিল ঋণ নিতে গিয়ে এনজিওটির অফিসে তালা ঝুলতে দেখেন গ্রাহকরা। প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের অধিকাংশই দরিদ্র শ্রেণির।
তারা আরও জানান, করোনার এই সংকটকালে অধিকাংশ এনজিও ঋণ দেওয়া বন্ধ রাখায় তারা ‘সকস বাংলাদেশ’ এর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। আর সেই ঋণের টাকা নিয়ে কেউ গাড়ির ব্যাটারি ক্রয়, অন্যের ঋণ শোধ কিংবা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। এই এনজিওর দ্বারা পাঁচ শতাধিক গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। এনজিওটি গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের একজন মনিরা আক্তার। তিনি বলেন, ৬০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার জন্য ওই এনজিওর কর্মকর্তাদের কাছে অন্যের কাছ থেকে ধার নিয়ে ছয় হাজার টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা দিয়েছিলাম। এছাড়াও এনজিওতে ভর্তির জন্য আরও ২০০ টাকা পরিশোধ করেছি। বর্তমানে সেই ধারের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
এ বিষয়ে এনজিওটির বাসার মালিক সবুজ হাওলাদার জানান, তিনি এপ্রিল মাস থেকে ওই এনজিওটিকে অফিস ভাড়া দেন। তবে তাদের সঙ্গে লিখিতভাবে চুক্তি করার আগেই তারা দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে। এরপর বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দফতরকে জানানো হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আবীর হাসান/আরএআর