কোনো শিল্পী যেন আমার মতো ভুক্তভোগী না হন : বেবী নাজনীন
‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’-খ্যাত সংগীতশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন বলেছেন, আমি দেশকে রিপ্রেজেন্ট করি। দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার মতো জাতীয় মর্যাদা নিয়ে আমি চলি। অথচ আমাকে নানারকম নির্যাতন করে বাধা দেওয়া হয়েছে। এতে আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা অনেক কঠিন। জানি না আমি কতটুকু পারব। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেছি। শান্তির নিশ্বাস নিয়ে চলছি। শান্তিমতো কথা বলছি, কথা বলতে ভয় পাচ্ছি না।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সৈয়দপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া-মাহফিলে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন বলেন, দেড় যুগ ধরে আমি আমার প্রফেশনাল কাজ করতে পারিনি। কোনো গানের প্রোগ্রাম করতে পারিনি। আমার অনুষ্ঠানের পারিশ্রমিক ফেরত দিতে হয়েছে। অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, রেকর্ডিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ আমিসহ আমার মতো কোনো শিল্পী যেন এরকম ভুক্তভোগী না হন।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে নিজ জন্মস্থান নীলফামারীর সৈয়দপুরে আসেন তিনি। তাকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই হাজারো বিএনপি নেতাকর্মী ও ভক্তবৃন্দ সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবস্থান করেন। বিমানবন্দর থেকে নেমেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সাজ্জাদ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি। এরপর সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ শাহিন আকতারের বাসায় যান এই সংগীতশিল্পী। দিনব্যাপী রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে আজই ঢাকা ফিরে যাবেন তিনি।
দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে গত ১০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফেরেন বেবী নাজনীন। বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছর বেবী নাজনীন নানাভাবে প্রতিহিংসার শিকার হন। বন্ধ হয়ে যায় তার পেশাগত কর্মকাণ্ড। অহেতুক আটকসহ নানা হেনস্তার মুখে প্রায় আট বছর আগে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশে ফেরেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীত তারকা।
শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ