‘তিস্তা এখন শেখ হাসিনার মতো রাক্ষসীর ভূমিকায়’
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, দীর্ঘদিন এই অঞ্চলের মানুষ তিস্তা নদীর পানি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যে তিস্তা নদী আমার মায়ের মতো ছিল সেই তিস্তা নদী এখন রাক্ষসীর ভূমিকা অবতীর্ণ হয়েছে শেখ হাসিনার মতো। আমাদের বাড়িঘর নেই, আমাদের বসতবাড়ি নেই, আমাদের থাকার জায়গা নেই।
গতকাল (বুধবার) বিকেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লালমনিরহাট শহরের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু এ সব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধান অতিথি হিসেবে জনসমাবেশ অংশগ্রহণ করেন।
আসাদুল হাবিব দুলু আরও বলেন, দীর্ঘদিন অনেক রাজনৈতিক সংগঠন সামাজিক সংগঠন দাবি আদায় করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়নি। এটাও মনে রাখতে হবে কোনো দাবি আন্দোলন ছাড়া আদায় হতে পারে না। এজন্য আগামী ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি লাগাতার ৪৬ ঘণ্টা অসংখ্য চরে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমাবেশ করব।
তিনি আরও বলেন, হত্যা, নির্যাতন, গুম, জেল জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছি। লক্ষ্য ছিল আমাদের নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বুকে রক্ত ঢেলে দিয়েছে। এতে স্বৈরশাসনের পতন হয়েছে। কিন্তু আমরা সাম্প্রতিক সময় লক্ষ্য করছি সেই আকাঙ্ক্ষার থেকে সেই লক্ষ্য থেকে কিছুটা মনে হয় বিচ্যুতি ঘটছে।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, আমরা ভরসা পাই না, আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দেখতে পাই না। একটি সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় চলতে পারে না। আমাদের পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা সরকারকে সহযোগিতা দিচ্ছি, দিয়ে যাবো। কিন্তু তার মানে এই নয়, একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার অনন্তকাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে শুধু সংস্কার আর সংস্কারের কথা বলেই যাবে। এমন কিছু সংস্কার রয়েছে। যা কিনা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আর রাজনৈতিক সরকার ছাড়া রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালিত হয় না। সেটি তো বিগত ছয় মাসে আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম। এখানে আমরা দ্রব্যমূল্যের কথা বলি, আইনশৃঙ্খলার কথা বলি, রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার কোনো চিহ্ন আমরা দেখতে পাই না।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এনএফ
