আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

জুলাই হত্যাকাণ্ড ও সম্প্রতি গাজীপুরে আওয়ামী লীগের হামলায় আহত হয়ে শিক্ষার্থী আবুল কাশেম নামে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রংপুরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ ছাত্র-জনতাকে ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ছাত্র-জনতার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাসি চাই’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন
এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আওয়ামী লীগ আমার ভাইকে শহীদ করেছে, সেই আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখে না। আওয়ামী লীগ একটি জঙ্গি সংগঠন। যাদের হাতে দেশের মানুষের রক্ত আছে, তারা এ দেশে রাজনৈতিক করতে পারবে না।
বক্তারা আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনার হুকুমে পাখির মতো ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই রক্তের দাগ এখনও শুকিয়ে যায়নি। কারণ আগস্টের পরও আওয়ামী লীগের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। তাদের মদদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাংচুর এমনকি আমাদের ভাইদের হত্যা করা হচ্ছে। গাজীপুরে আমাদের ভাই আবুল কাশেমকে শহীদ করা হয়েছে। এই খুনি হাসিনার আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার আর কোনো সুযোগ দেয়া হবে না।
তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা। এই খুনির দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে তারা রাস্তায় রাস্তায় মানুষ খুন করেই যাবে।আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আর কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে নামা হবে। তবুও খুনির দল ডাকাতের দল চোরের দলকে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হবে না।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি, সদস্যসচিব রহমত আলী, মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার, মুখ্য সংগঠক আরিফুল আলম, জেলা আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, সদস্যসচিব ডা. আশফাক আহমেদ জামিল, মুখ্য সংগঠক ইফাদ হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুরে গ্রামের বাড়িতে মারধরের শিকার হন কাশেম খান। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসএ