শিবির নেতাকে গুলি করে হত্যা, ৬ পুলিশসহ ১৩ জনের নামে মামলা

কুমিল্লায় শিবির নেতা শাহাব উদ্দিনকে (২৫) গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
নিহত শাহাবুদ্দিনের বাবা জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ছয় পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পশ্চিম চান্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শাহজাহান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন
মামলায় চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী, পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার, মো. ইব্রাহিমসহ ১৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা, কনস্টেবল, গাড়িচালক ও আনসার সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত মামলার তদন্তের আদেশের জন্য বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহাব উদ্দিন শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ শাহাব উদ্দিনকে পৌর এলাকার পশ্চিম চান্দিশকরা বাড়ি থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। রাতে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে তার সন্ধান পায়নি। পরদিন সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহাব উদ্দিন শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ শাহাব উদ্দিনকে পৌর এলাকার পশ্চিম চান্দিশকরা বাড়ি থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। তাকে মাথায় গুলি করে হত্যার পর চৌদ্দগ্রামের শামুকসার নাভানা প্রকল্পের সামনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে বলে পুলিশ টিভি ও পত্রিকায় প্রচার করে। এ ছাড়া ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে তার বিরুদ্ধে উলটো অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দেয় পুলিশ।
পরে রাতে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে তার সন্ধান পায়নি। পরদিন সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার। চৌদ্দগ্রামের তৎকালীন এমপি মুজিবুল হক, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও তৎকালীন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীর হুকুমে অন্যান্য আসামিরা প্রত্যক্ষ সহায়তায় পুলিশ শাহাব উদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আইনজীবী মো. শাহজাহান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ছাত্রশিবির করার অপরাধে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু একজন নিরপরাধ ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার নির্দেশ ওই দিন কারা দিয়েছিল অভিযোগের তদন্ত হলে আরও অনেক পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নাম বের হবে। আশাকরি আগামীকাল (বুধবার) আদালত মামলার এফআইআর ও তদন্তের নির্দেশনা দেবেন।
আরিফ আজগর/এএমকে