এক বছরে কোরআন মুখস্থ করল নবম শ্রেণির ছাত্রী

পঞ্চগড়ে মাত্র এক বছরে কোরআন মুখস্থ করেছে হাবিবা আক্তার বৃষ্টি নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। হাফেজা হওয়ার পর তাকে সম্মান জানাতে দেওয়া হয়েছে রাজকীয় বিদায়।
তাকে বিদায় জানাতে শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে উপজেলার চাকলাহাট এলাকার হাবিবা জান্নাত মদিনাতুল উলুম বালিকা মাদরাসায় সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হাবিবা আক্তার বৃষ্টি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের উত্তর ডাংগাপাড়া গ্রামের হাসিবুল ইসলামের মেয়ে।
মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে হাবিবা ওই মাদরাসায় ভর্তি হয়। এক বছরে সে হাফেজা হয়। অল্প সময়ে তার এই সাফল্যে খুশি মাদরাসার শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তাই তাকে সম্মান জানাতে নানা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে তাকে অনুষ্ঠানিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় ফুলের মালা পড়িয়ে বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পরে একটি সুসজ্জিত মাইক্রোবাসে বসিয়ে কয়েকটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বহরের মাধ্যমে তাকে রাজকীয় সম্মানে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। হাবিবা স্থানীয় একটি আলিয়া মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
হাবিবা আক্তার বলে, আমাদের মাদরাসার শিক্ষকরা অনেক দক্ষ। তারা আমাদের অনেক যত্নসহকারে পড়ানোর কারণে আমি এক বছরে কোরআনের হাফেজা হয়েছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি বড় হয়ে একজন আলেমা হতে চাই।
হাবিবার বাবা হাসিবুল ইসলাম বলেন, এই মাদরাসার পরিবেশ অনেক ভালো। অল্প সময়ের মধ্যে আমার মেয়ে ৩০ পারা কোরআনের হাফেজা হয়েছে এজন্য আমরা খুব খুশি হয়েছি। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।
আরও পড়ুন
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. আব্দুস সালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০২৩ সালে হাবিবা জান্নাত মদিনাতুল উলুম বালিকা মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাবিবা মেধাবী হওয়ায় এক বছরেই পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে হাফেজা হয়ে ওঠে। বর্তমানে মাদ্রাসায় ৬৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে আরও পাঁচজন শিক্ষার্থী হেফজ সম্পন্ন করবে।
চাকলাহাট কেপি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ আর এম শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদ্রাসাটিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা নারীদের ইসলামিক শিক্ষা দিয়ে হাফেজা হিসেবে তৈরি করছে। আজকে হেফজ সমাপনী অনুষ্ঠানে হাবিবা আক্তার সহি ও সুন্দরভাবে কোরআন তেলোয়াত করেছে। আমরা তার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে কোরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করে। সে যেন কোরআনের আলো গ্রামেগঞ্জে সব মায়েদের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারে।
এএমকে