রুইয়ের বদলে রোগীদের পাঙ্গাস মাছ দেওয়া হচ্ছে, সেটাও পরিমাণের অর্ধেক

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে রোগীদের খাবারে ব্যাপক অনিয়ম, ডাক্তারদের অনুপস্থিতি এবং অন্যান্য অব্যবস্থাপনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। সোমবার দুপুরে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, রোগীদের দুপুরের খাবারে মুরগির পরিবর্তে পাঙ্গাস মাছ দেওয়া হচ্ছে, যদিও সরকারি নথিপত্রে রুই মাছ দেওয়ার কথা। এছাড়াও, প্রতিটি রোগীকে ১৮৬ গ্রাম মাছ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেওয়া হচ্ছিল মাত্র ৮৮ গ্রাম। এই বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
অভিযানে দুজন ডাক্তারকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পাওয়া যায়, যাদের অনুপস্থিতির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। কর্তব্যরত অবস্থায়ও একজন ডাক্তার নিজের ব্যক্তিগত প্রেসক্রিপশন দিয়ে রোগী দেখছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এছাড়াও হাসপাতালের অপরিষ্কার পরিবেশ এবং নার্সদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুদক জানিয়েছে, তারা এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনবে এবং সকল নথিপত্র সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা কেএম ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন দুদককে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযান শেষে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন জানান, তারা সকল তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন এবং কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনোয়ারুল হক/এমএএস