ইএসডিও’র চাকরি মেলায় কর্মসংস্থান হলো ১৭৮ জনের

বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জব এক্সপো ২০২৫ : যুবদের হাতেই ২১ শতকের নেতৃত্ব’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে চাকরি পেলেন ১৭৮ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই এক্সপোতে মোট ৩২১২ জন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সিভি জমা দেন ১৩৪১ জন। এর মধ্যে চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৫৩৯ জন। আর সরাসরি চাকরি পেয়েছেন ১৭৮ জন। এডুকো বাংলাদেশ এবং ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর লিফট প্রকল্পের তত্বাবধায়নে ও চাইল্ডফান্ড কোরিয়া এর অর্থায়নে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধন করেন এডুকো বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, এটি কেবল মাত্র একটি চাকরি মেলা ছিল না, ছিল জাতীয় পর্যায়ের একটি অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষা থেকে কর্মসংস্থান ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠগুলো একত্রিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, শিল্পখাতের স্টেকহোল্ডার, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের এক অভূতপূর্ব সমাবেশ ঘটে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, যেমন করে যুবসমাজকে চাকরির জন্য প্রস্তুত করতে হবে, তেমনি চাকরির বাজারকেও তাদের গ্রহণ ও সম্পৃক্ত করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী।
২য় অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. জালাল আহামেদ। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ড. কে এম কবিরুল ইসলাম ও এএইচএম শফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
৩য় অধিবেশনে ইএসডিও’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মো: শহীদ উজ জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাগণ, সংশ্লিষ্ট চাকুরি দাতাগণ ও মিডিয়া প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
৩০টিরও বেশি দেশি ও বিদেশি কোম্পানি এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করে। যেখানে তারা সরাসরি সাক্ষাৎকার, তাৎক্ষণিক নিয়োগ এবং ক্যারিয়ার-গঠনের নানান সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও সিভি লেখার কর্মশালা, মোটিভেশনাল সেশন ও কর্মক্ষেত্র প্রস্তুতির ওপর প্যানেল আলোচনা, লিফট্ প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করার মাধ্যমে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ খাতের তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বাস্তবমুখী দক্ষতা ও শিল্প সংশ্লিষ্ট অন্তর্দৃষ্টি তুলে ধরেন।
এডুকো বাংলাদেশ, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ খাতে দক্ষতা উন্নয়ন ও পাঠ্যক্রম সংস্কারে একটি নতুন নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষে জোরালো অবস্থান তুলে ধরে। শিল্পখাতের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর্মশক্তি গড়ে তুলতে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়।
এমএএস
