ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্গাপূজায় ৬২৩ পুলিশ ও ৩৬৯২ আনসার সদস্য মোতায়েন

মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টা, উলুধ্বনি আর পুরোহিতের চণ্ডীপাঠে দেবীর বোধন পূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। রোববার (২৮ অক্টোবর) সকালে জেলার ৫৬২টি মণ্ডপে শুরু হয়েছে দুর্গোৎসব। ষষ্ঠ তিথিতে মন্দিরের মণ্ডপে মণ্ডপে বিল্ব বৃক্ষ বা বেল গাছের পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আবাহন করা হয়েছে।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। জেলার সর্বমোট ৫৬২টি পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৬২৩ জন পুলিশ সদস্য এবং ৩৬৯২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, জেলায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৮১টি ও গুরুত্বপূর্ণ ২৪৫টি মণ্ডপে মোট ৩২৬ জন পুলিশ দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ২৩৬টি সাধারণ মণ্ডপে সরাসরি পুলিশ মোতায়েন নেই। এছাড়া দ্রুত তৎপরতা নিশ্চিত করতে ২২টি মোবাইল টিমে ৬৬ জন, ২১টি চেকপোস্টে ৬৩ জন, ২৫টি মোটরসাইকেল টহলে ৫০ জন, সাদা পোশাকে ২৮ জন, ট্রাফিকে ১৫ জন এবং অন্যান্য দায়িত্বে আরও ৭৫ জন পুলিশ মোতায়েন আছেন। সব মিলিয়ে জেলার পূজামণ্ডপ ও আশপাশে ৬২৩ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
শুধু পুলিশ নয়, পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরাও থাকবেন ব্যাপকভাবে নিয়োজিত। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মণ্ডপে ৮ জন করে মোট ৮২৪ জন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মণ্ডপে ৬ জন করে মোট ১ হাজার ৩৩২ জন এবং সাধারণ মণ্ডপে ৬ জন করে মোট ১ হাজার ৫৩৬ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৬৯২ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তার কাজে অংশ নিচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. এহতেশামুল হক জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ব্যাপক উপস্থিতি দুর্গাপূজার ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মধ্যে স্বস্তি সৃষ্টি করেছে। পূজা চলাকালীন সিসিটিভি ক্যামেরা, মোবাইল টহল ও চেকপোস্টের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হবে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে।
এর আগে গতকাল শনিবার শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা ডিউটি সংক্রান্ত ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক। এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা ডিউটিতে নিয়োজিত সকল পুলিশ সদস্যকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তাছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।
মাজহারুল করিম অভি/আরএআর