রাতভর সংঘর্ষের ঘটনায় যা বলছেন সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা

সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোববার (২৬ অক্টোবর) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে সাভারের খাগান এলাকায় অবস্থিত সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা এই নিন্দা জানান।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ব্যাচেলর প্যারাডাইসের সামনে ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর ওপর সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। বিষয়টি নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে।
তবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করেন। পরে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির ভেতরে প্রবেশ করে বাসে আগুন ও ভাঙচুর করে।

সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সামিরা আক্তার বলেন, ‘রোববার রাতে আমাদের ইউনিভার্সিটির ভেতরে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় আমাদের ইউনিভার্সিটির তিনটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়া, প্রশাসনিক ভবনে হামলা ও লুটপাট করেছে। আমরা খুব ভয়ে ছিলাম।
আইন বিভাগের ৩৯ ব্যাচের ফারহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, রাতে যখন ছাত্রীদে হোস্টেলের সামনে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা হামলা চালান। তখন আমরা পুলিশের সহায়তা চেয়েছি, কিন্তু তাদের থেকে আমরা সহায়তা পাইনি। ড্যাফোডিলের হামলাকারীরা আমাদের প্রশাসনিক ভবনে লুটপাট ও বাসে আগুন দিয়েছে। এক রাতের ভেতরে তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে জানান তিনি।
সিএসসি পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাহেক বলেন, রোববার রাতে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে হামলা করে। এ সময় প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুরসহ তিনটি নতুন বাসে আগুন ও শিক্ষকদের গাড়িতেও আগুন দিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা। শুধু থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করেই এমন হামলার চালিয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক, ক্রাইম এন্ড অপস) আরাফাতুল ইসলাম ঢাকা পোস্টে বলেন, রোববার রাতে আমাদের পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করেছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য। তবে বিষয়টি যেহেতু শিক্ষার্থীদের তাই সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। সকালে আমরা প্রক্টোরের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বসবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। তবে ক্যাম্পাসে এখনো উত্তাপ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি মামলা দায়ের করতে চায়, তবে মামলা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
লোটন আচার্য্য/এএমকে