একই সম্পত্তি ১৪ জনের কাছে বিক্রির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু কাউসার সোহেলের বিরুদ্ধে একই সম্পত্তি ১৪ জনের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ওই সম্পত্তি দিঘিরপাড় অগ্রণী ব্যাংক শাখায় বন্ধক (মর্টগেজ) রেখে টাকা তোলার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোহন ছৈয়াল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে টঙ্গিবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেশনাল মৌজায় ৫৯ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন শাহানা আজম খান। ওই জমি থেকে ৫৫ শতাংশ জমির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নেন সোহেল। পরে সেই পাওয়ারের ভিত্তিতে ২০২০ সালে তিনি মোহন ছৈয়ালের কাছে ১৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। কিন্তু মোহন ছৈয়ালের অভিযোগ- সোহেল ওই জমি তার কাছে বিক্রি করার আগেই একই সম্পত্তি আরও ১৩ জনের কাছে বিক্রি করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সোহেল ৫৫ শতাংশ জমির পাওয়ার নিলেও সেই পাওয়ারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মোট ৮৭ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। বিক্রির পরও কারও কাছে জমি হস্তান্তর না করায় বর্তমানে ওই জমি নিয়ে চলছে তীব্র বিরোধ। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, দেখা দিয়েছে খুনখারাবির আশঙ্কাও।
ভুক্তভোগী মোহন ছৈয়াল বলেন, আমি সোহেলের কাছ থেকে ১৩ শতাংশ জমি ৩০ লাখ টাকায় কিনেছি। কিন্তু সে আমাকে জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। একই জমি ১৪ জনের কাছে বিক্রি করে ব্যাংকে বন্ধকও রেখেছে। এখন জমির দখল নিতে গিয়ে এলাকায় হাঙ্গামা চলছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে। আমি জমি বুঝে নিতে চাইলে সোহেল নানা অজুহাত দেখায় এবং আমাকে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু কাউসার সোহেল বলেন, আমি আমার চাচির কাছ থেকে জমির পাওয়ার নিয়ে বিক্রি করছি। আমি যতটুকু পাওয়ার নিয়েছি, ততটুকুই বিক্রি করেছি।
তিনি আরও বলেন, জমির নকশায় পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে। আমি বিষয়টি ঠিক করতে আদালতে মামলা করেছি। নকশা ঠিক হলে সবাইকে তাদের জমি বুঝিয়ে দেব।
এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব. ম. শামীম/এআরবি