ওবায়দুল কাদেরকে পালাতে সহযোগিতার তথ্য মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর : সামু

ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন রংপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সামসুজ্জামান সামু। তিনি এ ধরনের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্যে বিভ্রান্ত না হতে দলের নেতাকর্মী, সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর চেম্বার ভবনের আরসিসিআই মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় কুচক্রী মহলের নানামুখী অপতৎপরতা ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, অবহেলিত রংপুর সদরে বিগত দিনে যারা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তারা এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানের পর ভোটাররা ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন দেওয়ায় একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বিএনপি এবং আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধানের শীষের প্রার্থী সামসুজ্জামান সামুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ধানের শীষের প্রতি মানুষের সমর্থন নষ্ট করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদেরকে ভারত পালাতে সহযোগিতার বিষয়ে আমাকে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পিএস বকুল ভাই ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকর্তা খোদা বক্সকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকে যদি দেশত্যাগে সহযোগিতা করি তাহলে এত গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে, তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কেন? এ ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে গণঅভ্যুত্থানের ১৮ মাস পরে আমি মনোনয়ন পাওয়ার পর কেন এসব কথা উঠেছে তা সবারই জানা। এমন বিভ্রান্তিকর কথা লিখে আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করা যাবে না।
সামসুজ্জামান সামু বলেন, দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে কেউ মনে কষ্ট পেয়েছেন। আমার ভাইদের অনুরোধ করবো তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা সবাই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করি। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রংপুর সদরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করি।
এ সময় রংপুর-৩ সদর আসনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সুলতান আলম বুলবুল, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর মকবুল হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর