সৌন্দর্যবর্ধনে কাটা হলো প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ২১ গাছ

সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেতরে থাকা ২১টি দেবদারু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবেশবাদী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সচেতন নাগরিকরা।
২৪ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছ কাটার ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরিবেশবাদীরা জানিয়েছেন এ নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগসূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উদযাপনের জন্য কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্যান্ডেল নির্মাণ করা হবে। প্যান্ডেল তৈরির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় রোববার কার্যালয়ের ভেতরের ২১টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী অধিকার কর্মীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশ আন্দোলনকর্মী আরিফুজ্জামান পৃথিল বলেন, “আমরা যারা পরিবেশবাদী, তারা এটিকে অত্যন্ত মন্দ কাজ বলছি। অনুষ্ঠান করার জন্য জেলায় আরও অনেক জায়গা আছে। এখানে গাছ কেটে কেন করতে হবে?”
সবুজ আন্দোলনের শেরপুর জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক জিহাদ মিয়া বলেন, “সরকারি টাকায় লাগানো এই গাছগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ একজন কর্মকর্তা কিভাবে কেটে ফেলতে পারেন এটি অগ্রহণযোগ্য। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ দাবি করেছেন গাছগুলো কাঠের গাছ নয়, সৌন্দর্যবর্ধক অলংকরণ গাছ। আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে শ্রমিকরা অনিচ্ছাকৃতভাবে কেটে ফেলেছে। প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ শেষে আবার নতুন গাছ লাগানো হবে। তিনি এসময় ঢাকা পোস্টকে বলেন. “আগামীকাল আমাদের অফিসে ডিসি এসপি আসবে একটা অনুষ্ঠান আছে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য গাছ গুলো কাটা হয়েছে। এটা আমাদের অফিসের আভ্যন্তরীণ বিষয়।”
ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই, তাই এখনই মন্তব্য করতে পারছি না।”
গাছ কাটার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বইছে শেরপুরে। পরিবেশবাদীরা বলছেন রাষ্ট্রীয় সম্পদের এমন ধ্বংসযজ্ঞ মেনে নেওয়া যায় না, প্রয়োজন সঠিক তদন্ত ও জবাবদিহি।
মোঃনাইমুর রহমান তালুকদার/এসএমডব্লিউ