প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কিশোরগঞ্জে মশাল মিছিল

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত তিন প্রার্থীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আখড়া বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মশাল মিছিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও-এক হও’, ‘অবৈধ মনোনয়ন, মানি না-মানবো না’সহ নানা স্লোগান দেন।
মশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান চুন্নু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম।
মিছিলকারীরা অভিযোগ করেন, বিএনপি ঘোষিত প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম ছিলেন স্বৈরাচারের দোসর ও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলায় তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৭ বছরে একটি মামলাও হয়নি। তার গায়ে একটি আচড়ও লাগেনি। অথচ ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নির্যাতিত ও নিগৃহিত নেতাদের পাশ কাটিয়ে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার মনোনয়ন বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতি অবজ্ঞা এবং যোগ্য প্রার্থীদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এ অবস্থায় তারা অবিলম্বে মো. মাজহারুল ইসলামের মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নতুন করে প্রার্থী ঘোষণা করার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি জোর দাবি জানান।
এদিন রাজনৈতিক উত্তেজনা আসলে শুরু হয় দুপুর ১২টার পর থেকেই। শহরের স্টেশন রোডে মনোনয়ন বঞ্চিত পাঁচ শীর্ষস্থানীয় প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন পুরো পরিস্থিতির বদলে যায় এবং প্রকাশ্যে চলে মনোনয়ন নিয়ে বিরোধ।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মনোনয়ন বঞ্চিত হেভিওয়েট পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন—জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাবেক বিভাগীয় স্পেশাল জজ ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার গুলশানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা দেশের ৩৬ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। ঘোষণার পর থেকেই বঞ্চিত প্রার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ, তৃণমূলে বিভক্তি এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দেখছে জেলাবাসী।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এএমকে