অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক পুলিশ-শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে উদ্ধার

ঝালকাঠির নলছিটিতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রশ্নপত্র তালাবদ্ধ রেখে বিদ্যালয়ে না আসার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে বিদ্যালয়ের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে মগড় ইউনিয়নের করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা। পরে পুলিশ ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামী বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম করে আসছেন। তার অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী সম্প্রতি মানববন্ধন করেন এবং বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল।
অভিভাবকদের অভিযোগ, সোমবার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থাকলেও প্রশ্নপত্র প্রধান শিক্ষকের আলমারিতে তালাবদ্ধ ছিল। সেদিন তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় পরীক্ষা নিতে পারেননি শিক্ষকরা। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্ষোভ আরও তীব্র হয়। মঙ্গলবার তিনি স্কুলে এলে স্থানীয়রা তাকে একটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরীন আক্তার সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মলিনা রানী গোস্বামী বলেন, সরকারি পুকুর দখল নিয়ে এলাকার একটি পক্ষের বিরোধিতা করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করেছে। দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, ঘটনা জানার পর স্কুলে যাই। এর আগে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, সোমবার তিনি আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে বিদ্যালয়ে আসতে পারেননি। অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নলছিটি থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আশরাফ আলী বলেন, ৯৯৯-এ কল পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
শাহীন আলম/এমএএস