নির্বাচনকে বানচাল করবে এত বড় শক্তি জন্ম নেয়নি : পুলিশ সুপার

খুলনার নবাগত পুলিশ সুপার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেছেন, তফসিল ঘোষণা করা হলে যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ পরিপূর্ণ প্রস্তুত আছে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার বা কনফিউশনের কোনো সুযোগ নেই। যদি আমরা ব্যর্থ হয়ে যাই, না পারি তাহলে রাষ্ট্র বিলীন হয়ে যাবে। সুতরাং এখানে কোনো সুযোগ নেই, আমাদের সর্বোচ্চ টুকু আমরা দেবো। অতীতের যতটুকু কালিমা, কলঙ্ক আছে, এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি, ওইভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সন্ত্রাস দমনে শিগগিরই অভিযান পরিচালিত হবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করবে এত বড় শক্তি এখনো জন্ম নেয়নি। নির্বাচন হবে এবং আমাদের যা আছে, পুরোটুকু সামর্থ্য কাজে লাগাবো এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য।
পুলিশ সুপারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুলনা জেলার ৫৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ। তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাইকগাছা। এ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৩৫টি কেন্দ্র। এছাড়া কয়রার ১৪টি, ডুমুরিয়ার ২৭টি, ফুলতলার ৪টি, দিঘলিয়ার ৮টি, তেরখাদার ৬টি, রূপসার ২৩টি, দাকোপের ১৩টি ও বটিয়াঘাটার ৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স, মোবাইল পেট্রোলসহ সবই থাকবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র আমরা বডিঅন ক্যামেরার আওতায় আনবো।
পুলিশ সুপার বলেন, উপকূল পর্যায়ে অনলাইন জুয়ার মাস্টারমাইন্ডদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, খুলনার নিরাপত্তায় কেএমপি, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনার বিষয়ে কাজ করা হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ অস্ত্রের সন্ধান বা উদ্ধারে সহযোগিতাকারীকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এম আল বেরুনী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খুলনা সার্কেল) সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর