স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর

চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে উম্মে সালমা খাতুন (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নতুন জেলখানার অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত উম্মে সালমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলৎদিয়াড় গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী। তিনি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের দর্শনা শাখায় বিলিং সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের স্বামী আলতাফ হোসেন বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের দর্শনা শাখায় কর্মরত। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার অফিস শেষে দুজন মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলাম। নতুন জেলখানার নিকট পৌঁছালে সামনে থাকা স্পিড ব্রেকারের ঝাঁকুনিতে আমার স্ত্রী মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উম্মে সালমা খাতুনের মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল আরসালান বলেন, মাথায় আঘাতের কারণে উম্মে সালমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, শহরের নতুন জেলখানার অদূরে স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে উম্মে সালমা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। আবেদন করলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই উম্মে সালমা খাতুনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে উম্মে সালমা খাতুনের মৃত্যুর খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসলাতালে ছুটে আসেন মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের ডিজিএম কাজী মোছা. আয়শা সিদ্দিকা সরকার, জেনারেল ম্যানেজার নূর মোহাম্মদ, সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ও অ্যান্ড এম) রবিউল আলম, জিএস আমানুল্লাহ আমানসহ সহকর্মীরা।
আরএআর