নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ২

নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে ওই বিএনপি নেতার নিজ বাড়ি আন্ডারচর ইউনিয়নের চকিদার হাটের তালতলা নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হারুনুর রশিদ মোল্লা আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মৃত নছিমুল হকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুইবার বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।
নিহত বিএনপি নেতার ভাই আমিনুল হক বলেন, কয়েক দিন আগে ওনার ছেলে সজিবের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বাকবিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে ১৫-২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে স্থানীয় চৌকিদার বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সজিবকে হত্যার উদ্দেশে খুঁজতে থাকে। সজিবের বাবা বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ মোল্লা এ খবর পেয়ে ছেলেকে বাঁচানের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রাত পৌনে ৮টার দিকে স্থানীয় চৌকিদার হাটের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে তিনি স্থানীয় তালতলা নামকস্থানে পৌঁছলে তাদের মুখোমুখি পড়ে যান।
তাদের মধ্যে রিয়াদ, নাফিস, ইউসুফসহ অন্যরা ভাইকে গুলি করে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকে (৩৩) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এরপর স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় ভাতিজা রমিজ নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরেক ভাই দৌড়ে প্রাণে বেঁচে যান।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, হারুনুর রশিদ মোল্লাকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও দুই জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে রমিজের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
এদিকে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত থাকায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- আন্ডারচর ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামের আলী আহমদের ছেলে মো. সোহাগ (২৪) ও নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. মিলন হোসেন (২৫)। এছাড়া বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
হাসিব আল আমিন/জেডএস