আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা অসহায় মানুষদের কর্মসংস্থানে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিশেষ উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান দেশের কেউ যেন নিজেকে পিছিয়ে পড়া অথবা অসহায় না ভাবে। সেজন্য তাদের জন্য ঘর নির্মাণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। দেশের এক শ্রেণির মানুষ পিছিয়ে থাকবে অথবা অবহেলিত থাকবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা চান না। তিনি পিছিয়ে থাকা মানুষদের সমাজের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে চান। সেই লক্ষ্যে গৃহহীন মানুষদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
পরে জেলা প্রশাসক অবহেলিত শিশুদের জন্য শিশু পার্ক উদ্বোধন করেন। ছোট পরিসরে হলেও এ শিশু পার্কে দুইটি রাইড সংযোজন করা হয়েছে।
এদিকে অবহেলিত শিশুদের জন্য শিশু পার্ক স্থাপন করে এলাকার মানুষদের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। পার্ক পেয়ে আবেগে আপ্লুত শিশু মাহমুদা আক্তার স্মৃতি (৩), ইয়াসমিন আক্তার মুনিয়া (৩) ও নাজমা আক্তার (৪)।
মাহমুদা আক্তার স্মৃতি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমগোরে (আমাদের) ঘর দিয়েছেন। এমন ঘর পাইয়্যা (পেয়ে) আমরা অনেক খুশি। এখানে খেলার জন্য কোনো সুবিধা ছিল না। ডিসি স্যার এখানে শিশুপার্ক বানাই দিসেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিনে কিনা জানতে চাইলে শিশু স্মৃতি বলেন, আমি উনাকে টিভিতে দেখেছি। উনাকে দেখলে আমি তাকিয়ে থাকি।
মাহমুদা আক্তার স্মৃতির বাবা আবু তাহের (৪৫) ঢাকা পোস্টকে বলেন, মা (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের পাকা ঘর দিয়েছেন, টিউবওয়েলদিয়েছেন, বিদ্যুৎ দিয়েছেন। অভাবের সময় খাবারও দিচ্ছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা বলেন, শিশুদের মেধার বিকাশের জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন আছে। মুজিববর্ষের উপহারের ঘর যারা পেয়েছেন এমন প্রতিটি ঘরেই শিশু রয়েছে। তাদের কথা চিন্তা করে শিশু পার্ক উদ্যান নির্মাণ করা হয়েছে।
উঠান বৈঠকে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান, সহাকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা সুলতানা, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এ কে এম জহিরুল ইসলাম, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ইসহাক, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সাবু ও ইউপি সচিব মো. সহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ