পরপর চারটি ইনজেকশন পুশে ইমামের মৃত্যুর অভিযোগ
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পর পর চারটি ইনজেকশন পুশ করায় ইমামের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ইমাম সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর খোয়াজপুর গ্রামের মৃত সলেমান মোড়লের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মোড়ল (৬০)। তিনি সদর উপজেলার বশারচর মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদের ইমামতি করতেন।
স্বজনরা জানায়, ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে শরীরে জ্বর ও হাতে ব্যথার জন্য দোলোয়ার হোসন স্থানীয় মঠেরবাজারে এক ফার্মেসিতে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আল শাহরিয়ার শাকিল। এ সময় তার শরীরে তিনটি ইনজেকশন পুশ করেন। তারপর দেলোয়ারকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নিলেও তার শরীরের অবস্থার আরও অবনতি হয়। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বেশি অসুস্থ হলে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক শাকিল।
সোমবার সকালে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফ্লুক্স-৫০০ এমজি নামে চারটি ইনজেকশন পর পর পুশ করেন চিকিৎসক শাকিল। এ সময় ইমাম যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। ভুল চিকিৎসায় দোলোয়ারের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার চান স্বজন ও এলাকাবাসী।
দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সিফাত মোড়ল বলেন, বাবাকে ডাক্তার শাকিল প্রথমে তার নিজের চেম্বারে চিকিৎসা করিয়েছে। বাড়িতে ফিরে বাবার অবস্থা আরও খারাপ হয়। আমরা ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ডাক্তার শাকিল তাতে রাজি হয়নি। পরে তার পরামর্শে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। সেখানে তিনি পর পর চারটা ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার বাবার মৃত্যু হয়। আমার বাবাকে সে ইচ্ছে করে মেরে ফেলছে। আমরা তার কঠোর বিচার চাই।
ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক আল শাহরিয়ার শাকিলকে সদর হাসপাতাল পাওয়া যায়নি। তার মঠেরবাজারের ব্যক্তিগত চেম্বারও বন্ধ রয়েছে।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে কিছু বলা ঠিক হবে না। আর তার পরিবারের ইচ্ছেতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে গেছেন।
নাজমুল মোড়ল/এসপি