পাটুরিয়ায় বাড়ছে ভোগান্তি

পদ্মায় ঘন কুয়াশার কারণে মধ্যরাত থেকে বন্ধ রয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। নদীতে ঘন কুয়াশায় ফেরির দিক-নির্দেশনামূলক বাতির আলো অস্পষ্ট হওয়ায় মাঝ পদ্মায় আটকা রয়েছে যান ও যাত্রীবোঝাই ছোট বড় ৫ থেকে ৬টি ফেরি। মাঝ নদীতে নোঙর করায় ওই সব ফেরির যাত্রী ও যানবাহনের চালকসহ ফেরির মাস্টাররা দুর্ভোগে পড়েছেন।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাত আড়াইটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রখেছে কর্তৃপক্ষ। আধাঘণ্টার নৌরুট পার হতে সময় লাগছে দ্বিগুণের বেশি। যার কারণে পরিবহন বাসের যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া জিরোপয়েন্ট থেকে আরসিএন মোড় ক্রস করেছে দূরপাল্লার পরিবহন বাসের দীর্ঘ সারি। রাতভর বাসের ভেতরে বসে থেকে অস্বস্তিবোধ করছেন বাসের অনেক যাত্রী। অনেকে আবার বাস থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি করছেন।
কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানোর অপেক্ষা যেন বেলা বাড়ার সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে। শিশু বাচ্চা নিয়ে পরিবহন বাসের অনেক নারী যাত্রীরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। কেননা পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভালোমানের নেই কোনো শৌচাগার।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কথা হলে যাত্রীরা বলেন, এই নৌরুট সারা বছরই কোনো না কোনো সমস্যা লেগেই থাকে। সাধারণ যাত্রীরা সব সময়ই ভোগান্তি নিয়েই পারাপার হয়। যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণও করে না।
যাত্রীরা আরও বলেন, শীতের সময় নদীতে ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকে, বর্ষায় পদ্মায় প্রবল স্রোত, শুষ্ক মৌসুমে নদীতে নাব্যতা সংকট। পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পদে পদে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঘাট এলাকার পরিবেশ ভালো না, নেই মানসম্মত খাবার হোটেল। এ ছাড়া পুরুষ ও নারী যাত্রীদের জন্য নেই ভালোমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও পরিবহন চালকদের দুর্ভোগ লাঘবে করণীয় আছে কি না জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীতের দিনে প্রায় রাতেই কম বেশি কুয়াশা পড়ে। এটি প্রাকৃতিক বিষয়। এতে আমাদের তেমন কোনো কিছুই করার নেই।
তবে নদীতে কুয়াশা কেটে গেলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল শুরু করা হবে। তখন নৌরুট পারাপারে অপেক্ষমাণ যানবাহন ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে নদীপথ পারাপার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া নৌরুট পারাপারে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এ নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি নৌরুটে রয়েছে। পাটুরিয়াঘাট এলাকায় বাস, ছোট গাড়ি ও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক মিলে ৪ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে সিরিয়াল অনুযায়ী অপেক্ষমাণ যানবাহন পারাপার করা হবে বলে জানান তিনি।
এমএসআর