নোয়াখালীর সহিংসতার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৮

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পূজামণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় শ্রী শ্রী রামঠাকুর চন্দ্র মন্দির থেকে লুট করা ২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সুধারাম, হাতিয়া, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের-১১ সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করে। এ নিয়ে ২৬ মামলায় গ্রেফতার হলেন ২০০ জন।
গ্রেফতাররা হলেন- সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পূর্ব শুল্ল্যকিয়া গ্রামের নুরুল্লাহর ছেলে মো. সুমন (৩৩), বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর ৬ নং ওয়ার্ডের আলমগীর হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন নিশান (২০), একই ওয়ার্ডের আবুল হোসেনের ছেলে রনি (২৮), মীর ওয়ারিশপুর গ্রামের মৃত রফিকউল্লাহর ছেলে মো. ইউসুফ (৩০), হাজীপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আক্তারুজ্জামান (৫০), সোনাইমুড়ী উপজেলার রশিদপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হক পাটোয়ারির ছেলে রবিউল হাসান প্রকাশ রনি (৩২), হাতিয়া পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের আমিনুল হকের ছেলে ছেরাজুল হক বেচু (৪২) এবং লক্ষ্মীপুর জেলা সদর উপজেলার ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাহেদুল ইসলাম (২২)।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসামি ইমরান হোসেন নিশান ও আব্দুর রহিম সুজনসহ কয়েকজন মন্দিরে লুটপাট করে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে। নিশান আট হাজার টাকা ভাগে পায়। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫০০ টাকা সে খরচ করে। অবশিষ্ট ২ হাজার ৫০০ টাকা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা আসামিদের মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে।
হাসিব আল আমিন/এসপি