সন্তানের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলেন মা

ইমামের কবজি কেটে ফেলা বাবলু মাঝির সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলেন তার গর্ভধারিণী মা। একই সঙ্গে তার ভাইয়েরা জানিয়েছেন, বাবলু পরিবারের কারও সঙ্গে সর্ম্পক রাখতেন না। সে এখন যে কাজ করেছে, তা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে এসব কথা বলেন বাবলুর পরিবার।
বাবলু মাঝির বড় ভাই মিন্টু মাঝি বলেন, ইসলামের কোথাও বলা নেই দ্বিমত হলে কারও হাত কেটে ফেলতে হবে। তা ছাড়া মসজিদের ইমাম অত্যন্ত ভালো আচরণের মানুষ। তাকে নিয়ে তর্ক করা যায় না। সেই মানুষটির ওপর যে হামলা চালিয়েছে, সে আমার ভাই না। ঘটনা শোনার পর আমার মা বলেছেন, বাবলু তার সন্তান হলেও তিনি সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
মিন্টু মাঝি বলেন, ছোটবেলা থেকেই পরিবারের অবাধ্য ছিল বাবলু। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি তাকে মানুষ করতে। সে চট্টগ্রামে থেকে লেখাপড়া করেছে। কিন্তু লেখাপড়ার ফল যে এভাবে মানুষের হাত কেটে ফেলে দেবে, তা চিন্তাও করতে পারছি না। ভাই হিসেবে আমি নিজেও ওর বিচার চাই। তিনি জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে বাবলু মেজ।
ওদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো হামলাকারীর ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা। রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন এলাকার মসজিদের ইমামরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান হিমু খান, মাওলানা বজলুল ইসলাম, ইউপি সদস্য কাইয়ুম, মাওলানা আতিকুর রহমান, মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ইয়াকুব আলীকে কুপিয়ে বাঁ হাতের কবজি ও ডান হাতের দুটি আঙুল শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে বাবলু মাঝি নামের এক যুবক। ঘটনার চার-পাঁচ দিন আগে এতেকাফ করার জন্য মসজিদের চাবি চেয়েছিলেন বাবলু। কিন্তু মসজিদের ইমাম তা দেননি। তা ছাড়া ইমামের নামাজ আদায়ের পদ্ধতি ঠিক নেই বলে এলাকায় বলে বেড়াতেন বাবলু। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বর্তমানে আহত ইমাম ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ