ঈশ্বরদীতে ইউল্যাবের শিক্ষার্থীসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দুইজনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ও বিকেলে পৌর সদরে পৃথক এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন, বাবুপাড়া রেল কলোনি এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে সোহেল আফ্রিদি (২৩)। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরজন, পৌরসভাধীন রহিমপুর এলাকার রেজউল করিমের ছেলে মনির হোসেন (১৮)।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে আফ্রিদিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। বিকেলে মনিরকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো দেখেন পরিবার। এ সময় ঈশ্বরদী থানায় জানালে পুলিশ এসে পৃথক স্থান থেকে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। দুটি পরিবারের মাঝেই অনবরত ঝগড়া লেগেই থাকত।
পরিবারের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুম জানান, ২০১৬ সালের প্রেমের বিয়ে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে আফ্রিদির সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল দীর্ঘদিন থেকে। হয়তো এ কারণে সে অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
অপরজন মনিরের ব্যাপারে তিনি বলেন, ঢাকায় থাকা অবস্থায় একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হলে দুই সপ্তাহ তিনি এক বয়স্ক মেয়েকে ঢাকা থেকে বিয়ে করে ঈশ্বরদীর বাসায় নিয়ে আসেন। এরপর তাদের মধ্যে শুরু হয় কলহ। দুইদিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে রাজশাহীর বাবার বাড়িতে স্ত্রী চলে যাওয়াতে অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার সময় তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দুইজনই আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মূল কারণ জানা যাবে।
রাকিব হাসনাত/এমএএস