রৌমারীতে স্বামী-সন্তানকে হত্যাচেষ্টায় গৃহবধূ কারাগারে

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পারিবারিক কলহের জেরে শিশুসন্তান (৮ মাস) ও স্বামীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা অভিযোগে এক গৃহবধূকে আটক করা হয়। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গ্রামবাসী ওই গৃহবধূকে আটক করে রৌমারী থানায় সোপর্দ করেন।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাউনিয়ার চর মধ্যপাড়া গ্রামের সাহেব মিয়ার ছেলে সোহেল রানার (২৬) সঙ্গে শৌলমারী ইউনিয়নের বাউসমারী গ্রামের সাহাজুদ্দীনের মেয়ে শারমিন খাতুনের (২০) দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। তাদের শান্ত মিয়া নামে ৮ মাস বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে শারমিন তার সন্তান শান্তকে হত্যার উদ্দেশে দেশীয় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে স্বামী সোহেল রানা সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে সোহেল ও শান্তকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
সোহেল ও তার ছেলে শান্তর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসী শারমিন খাতুনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। গৃহবধূ শারমিন খাতুনকে রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মো. জুয়েল রানা/এনএ