রায়হান হত্যায় এবার এসআই হাসান গ্রেপ্তার

সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় এবার এসআই হাসান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ২৯ জানুয়ারি রায়হান হত্যা মামলায় পুলিশ লাইন্স থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই সিলেটের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি এসআই হাসানকে গ্রেপ্তারের পর ৩০ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তুলে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৩১ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রায়হান হত্যার পর গত বছরের ২১ অক্টোবর এসআই হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে রায়হান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হলো।
পিবিআই আরও জানায়, এসআই আকবরকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে তাকে পালাতে সহযোগিতা করার প্রমাণ পাওয়ায় এসআই হাসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করার পর ভোরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পরদিন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত করছে পিবিআই।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর পরপরই লাপাত্তা হন প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর। তাকে পালাতে সহযোগিতা ও রায়হান হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় আরও চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ঘটনার প্রায় একমাস পর গত ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্ত থেকে এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সর্বশেষ এসআই হাসানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তুহিন আহমদ/আরএআর