টাঙ্গাইলে ১৫ কিমি এলাকাজুড়ে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি

টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোর থেকে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। বিশেষ করে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী কাঁচামালবাহী পরিবহনগুলো সড়কে আটকে থাকায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-ঢাকা মহাসড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এর মধ্যে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। তবে বেলা ১১টার পর মহাসড়কে যানজট স্বাভাবিক হয়েছে।
জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ২৩ জেলার যানবাহন চলাচল করে। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৫ হাজার ছোট-বড় যানবাহন পারাপার হয়। ধীরগতি, যানজট ও দুর্ঘটনা মহাসড়কের এ অংশে প্রায়ই ঘটে থাকে।
এদিকে ভোরের দিকে ঢাকাগামী লেনের এলেঙ্গা অংশে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। এতে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনের সংখ্যা বাড়তে থাকলে শুরু হয় যানজট। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থেকে মহাসড়কের রসুলপুর পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়।
যানজটের কারণে ট্রাকচালকরা গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রেখে ট্রাকেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে যানজট বেড়েছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ ও মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গগামী পরিবহন বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বর হয়ে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা সড়ক ব্যবহার করে পুনরায় মহাসড়কে গিয়ে প্রবেশ করছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, রাতে ও সকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় চালকরা গাড়ি বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ভোরের দিকে হঠাৎ করেই মহাসড়কে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি হওয়ায় সকাল পর্যন্ত সেটি অব্যাহত থাকে। বেলা ১১টার পর থেকে পরিবহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বন্ধের দিন। তাই মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ রয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছিল। বতমানে মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
অভিজিৎ ঘোষ/এসপি