উন্নত দেশ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচুর ঋণ নিতে হবে

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৭ পিএম


উন্নত দেশ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচুর ঋণ নিতে হবে

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, উন্নত দেশ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচুর ঋণ নিতে হবে। 

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বৈদেশিক ঋণের নানামুখী সুফল তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে বিদেশি ঋণের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা উঠেছে। আমরা ঋণ নেব কেন? আজকে যে বঙ্গবন্ধু সেতু সেটা কিন্তু বিদেশি ঋণে হয়েছে। আমি যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি এটাও ইউএসআইডি’র সহায়তায় স্থাপিত হয়েছিল। কৃষি বিশ্ববদ্যিালয় কৃষির উন্নয়নে কাজ করছে। এটা সম্ভব হয়েছিল বৈদেশিক ঋণ সহায়তায়। বিআইসিসি, মেট্রোরেল, ন্যাশনাল হাইওয়ে হচ্ছে বৈদেশিক ঋণে। 

তিনি বলেন, বিদেশি সহায়তা আমাদের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের প্রচুর ঋণ নেওয়া দরকার, যতোক্ষণ পর্যন্ত উন্নত দেশ না হতে পারবো।

বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে ড. শামসুল আলম বলেন, বৈদেশিক ঋণে সুদ কম, পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধ করতে হয়। বৈদেশিক ঋণে সুদ ০ দশমিক ৭৫ থেকে দেড় শতাংশ। এই ঋণ পরিশোধ করার সময়টাও অনেক বড়। অনেক ঋণ আবার ৩১ বছরে পরিশোধ করতে হয়। আর দেশীয় ঋণ যদি ব্যাংক থেকে নেওয়া হয় তাহলে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেওয়া লাগে। বিদেশে যখন কম সুদ পাবো তাহলে নেওয়া উচিত।

৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাইপ লাইনে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার ২০২২ সালে পেয়েছি। যেহেতু স্বস্তায় ঋণ পাওয়া যাচ্ছে, সেহেতু দীর্ঘমেয়াদি নিতে হবে।  

ঋণের সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণ নেওয়ার কারণে অনেক সমালোচনা হয়। শ্রীলঙ্কা কিন্তু দক্ষিণ এশীয়ার সব থেকে উন্নত দেশ ছিল, মাথাপিছু আয় ও শিক্ষার হার ভালো ছিল। বেশ কিছু ভুলের জন্য তাদের এখন দুরাবস্থা। দক্ষিণ কোরিয়াও ঋণ নিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। তবে কিছু দেশ প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিয়েও কিছু করতে পারেনি, যেমন পাকিস্তন। তার অন্যতম কারণ ঋণ ব্যবস্থাপনার অভাব। কতগুলো ভুল করে তারা সমস্যায় পড়েছে, তাই আমাদের বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে সাবধান হতে হবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ইআরডি সচিব শরিফা খান প্রমুখ।

এসআর/জেডএস

Link copied