চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, বাড়তি চাওয়া হচ্ছে শসা-লেবুতেও

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ মার্চ ২০২৩, ১১:২১ এএম


চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, বাড়তি চাওয়া হচ্ছে শসা-লেবুতেও

রমজান মাস এলেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এ সময় বেগুন, শসা ও লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় বেড়ে যায় এগুলোর মূল্য। আজ রমজানের শুরুর দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। একইসঙ্গে অতিরিক্ত দাম হাঁকানো হচ্ছে শসা ও লেবুতেও।    

শুক্রবার (২৪ মার্চ) মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ছোলা ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এংকার ডাল কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৫০ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা। গত সপ্তাহের মতো এবারো স্থিতিশীল রয়েছে ছোলা ও বেসনের দাম।

dhakapost

তবে দাম বেড়েছে খেসারি ডালের দাম। গত সপ্তাহে খেসারি ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজিতে।

বেসন বিক্রি হচ্ছে ডালভেদে ৯৫ কেজি ১২০ টাকা। বুটের ডালের বেসন ৯৫ টাকা ও মুগ ডালের বেসন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।

অপরদিকে বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আলুর দাম কেজিপ্রতি ২৫ টাকা, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা।

dhakapost

তবে অতিরিক্ত দাম হাঁকানো হচ্ছে শসা ও লেবুতে। দেশি ও হাইব্রিড শসা যথাক্রমে ৮০ ও ৬০ টাকাতে বিক্রি হলেও তার দাম চাওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। লেবুর দাম প্রতি হালি ৪০ টাকা হলেও দাম হাঁকানো হচ্ছে ৬০ টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট ও পণ্য আমদানি বন্ধসহ নানা অজুহাতে রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক দফায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে বাড়তি দামের বোঝা বইতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় নিম্নআয়ের মানুষদের।

কথা হয় ক্রেতা মুজিবুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, রমজানের প্রথম দিনেই সবজির দাম বেড়ে গেছে। ছোলা বুটের দাম না বাড়লেও কখন বেড়ে যাবে তার ঠিকঠিকানা নেই।

dhakapost

আরেক ক্রেতা শিমুল হোসেইন বলেন, রমজানের প্রথম দিনেই বেগুনের দাম বেড়েছে। শসার দামও অতিরিক্ত চাওয়া হচ্ছে। এখন ইফতারিতে তো এসব লাগবেই, তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।

দীপক জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী সৌরভ বলেন, এই সপ্তাহে কোনো পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি। ছোল-ডালের দাম আগের মতোই রয়েছে। আশা করা হচ্ছে দাম এমনই থাকবে।

dhakapost

সবজি বিক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, চাহিদা বাড়তি থাকায় বেগুন, শসার দাম একটু বেশি। সাপ্লাই বেড়ে গেলে দামও কমে যাবে।

ওএফএ/এমএ

Link copied