পুঁজিবাজারে লেনদেন ছাড়াল সাড়ে ৬শ কোটি টাকা
সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন ও লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে রজমানের প্রথম দুই কর্মদিবস (সোম ও মঙ্গলবার) দরপতনের পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা দুদিন উত্থান হলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবারের মতো আজও সকাল ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়ে চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। এরপর যথারীতি শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপ, যা অব্যাহত ছিল দিনের লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত।
ফলে লেনদেনের এই ধারায় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ডিএসইতে মোট ৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৬ কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার টাকার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে কিছুটা লেনদেন বেড়েছে।
এদিন প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে দশ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক এক দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই ৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩০৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টি কোম্পানির। দাম কমেছে ৪৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ার। আর তৃতীয় স্থানে ছিল ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। তারপর যথাক্রমে রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, আমরা নেটওয়ার্কস, এডিএন টেলিকম, রূপালি লাইফ এবং শাইনপুকুর সিরামিক লিমিটেডের শেয়ার।
অপর বাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে ১২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ২৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬০টির।
দিন শেষে সিএসইতে ৯ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার ৮৭৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ১৪ লাখ ৮ হাজার ৩০৫ টাকার।
এমআই/জেডএস