অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ, নিন্দা ও প্রতিবাদ করে বিবৃতি দেওয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদের অপসারণ দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্যাংকটির মতিঝিল প্রধান কার্যালয় বিক্ষোভ করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মীচারীরা। অগ্রণী ব্যাংকের ফ্যাসিবাদ বিরোধী কর্মকর্তা-কর্মীচারীর ব্যানারে এ বিক্ষোভ করা হয়।
চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করা কর্মীরা জানান, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রক্ষার পক্ষে বিবৃতি প্রদান করে চেয়ারম্যান জুলাই ২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বিরোধী কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন
তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর, অর্থ পাচারকারী ও ব্যাংক লুটেরাদের দ্বারা ভঙ্গুর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষায় অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছে।
কিন্তু চেয়ারম্যান জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিকে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা করে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের উৎসাহিত করছেন। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল ব্যাংকের উন্নয়নে যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন করা। কিন্তু তিনি করেননি উল্টো বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার কাজে হস্তক্ষেপ করছেন।
এছাড়াও, জুলাই'২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভাঙার প্রতিবাদে তিনি তথাকথিত বিশিষ্ট নাগরিক হিসেবে বিবৃতি প্রদান করেছেন। যা বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার জন্য জুলাই'২৪ গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের আত্মার প্রতি এবং আহত সকলের প্রতি সর্বোচ্চ অসম্মান প্রদর্শনের শামিল। এজন্য চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি করা হয়। আগামীকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ বিষয় স্মারকলিপি দেবেন বলে জানানো হয়।
আন্দোলনকারী কর্মীরা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন টাঙানো হয়। একই সঙ্গে চেয়ারম্যানের অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, যারা এক সময় ফ্যাসিস আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করতো, আজকে তারাই রূপ পাল্টিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ব্যাংকের নিয়ম নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কিন্তু তারা এসব মানতে নারাজ। এখানে সিবিএ নেতা কর্মকর্তা হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর পর বদলির বিষয়ে রয়েছে এখন কাউকে বদলি করলে তারা যাবে না। এইরকম যারা নিয়ম কানুন মানতে চাচ্ছেন না তারাই বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে ব্যাংকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআই/এমএসএ