পদত্যাগে বাধ্য করা শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিয়মিত রাখার দাবি

জুলাই বিপ্লবের পর দেশের বেসরকারি স্কুল ও কলেজ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন ও স্বপদে ফিরতে চান শিক্ষকরা। একইসঙ্গে জটিলতা নিরসনে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকরা দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
তারা জানান, জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার মতো বর্বরতার শিকার প্রায় তিন হাজার অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক। তাদের অনুপস্থিতিতে স্কুল ও কলেজসমূহের শিক্ষা কার্যক্রম ও শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তারা বেতন-ভাতা চালুর বিজ্ঞপ্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন চান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ চান।
আরও পড়ুন
তারা আরও বলেন, গত ১৪ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপন আমাদের বুকে আশার সঞ্চার করেছে। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষাসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা এ প্রজ্ঞাপনের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর আওয়ামীপন্থি অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নানাভাবে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে একপর্যায়ে তা থামলেও প্রায় ৩ হাজার শিক্ষক লাঞ্চনার শিকার হন।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু থাকবে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করা হবে। তদন্তে কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে, তাকে চাকরিতে ফেরানো হবে।
এনএম/এআইএস